যশোরের কেশবপুরের মর্ডাণ ক্লিনিকে আবারও ডাক্তারের ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ওই প্রসূতির স্বামী বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সঠিক বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িযা ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ সাইফুলাহর স্ত্রী তাসলিমা বেগমের প্রসবজনিত বেদনা উঠলে ৩০ সেপ্টেম্বর কেশবপুর শহরের হাসপাতাল রোডের মর্ডান কিনিকে ভর্তি করেন। ঐ রাতে কিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে সিজারিয়ান অপারেশন করানোর কথা বলে কালপেন করতে থাকে। এক পর্যায়ে কিনিক কতৃপক্ষ গাইনী ডাক্তার ছাড়াই কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডাঃ আব্দুল বারীকে দিয়ে অপরারেশন করান। গাইনি বিষয়ে অভিজ্ঞ না হয়েও ডাঃ আব্দুল বারী সিজারিয়ান অপারেশন করার ফলে রোগীর রক্তপাত হতে থাকে। বার বার রক্ত দেয়ার পরেও রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কিনিক কর্তৃপক্ষ সুকৌশলে খুলনার একটি ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীর স্বজনরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তার চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করে খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর আত্মীয়রা খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ০৪ অক্টোবর বুধবার ভোরে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। ফলে তার ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যা সস্তানটি মাতৃহারা হলো। কেশবপুরের মর্ডান ক্লিনিকে ইতিপূর্বে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় কয়েক জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ গত ১৭ আগষ্ট ওই ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে মনিরামপুরের পারখাজুরা গ্রামের আব্দুল গণির স্ত্রী মুসলিমা খাতুনের মৃত্যু হয়। প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে ঐ ক্লিনিকে থামছেনা রোগী মৃত্যুর মিছিল। এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূর স্বামী সাইফুলাহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। ক্লিনিকে মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, কেশবপুর হাসপাতালের ডাক্তার আব্দুল বারী ওই গৃহবধূর অপারেশন করেন। তার কাছে শোনেন কি কারণে মারা গেছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার আব্দুল বারী বলেন, বিলম্বে নিয়ে আসায় ওই প্রসূতির জরায়ূ ফাটা ছিল। বিধায় অপারেশন থিয়েটারেই তার মৃত্য হওয়ার সম্ভবনা ছিল। তার শরীরে দেওয়া রক্তের রিয়াকশন ও কিডনী ফেল হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Mehedi
যদি কখন আমি হারিয়ে যাই ঐ দূর তারার দেশে,তুমি কী তখনও খুজবে আমায় হাত বাড়িয়ে ভালবেসে...?যদি কোন দিন নিভে যায় আমার আশার প্রদীপ,তুমি কী তখন জ্বালাবে আলোর দ্বীপ...?যদি কখন আমি হারিয়ে যাই দূর দিগন্তে,তখনও কী আমি থাকবো তোমার মনের সীমান্তে...?
Comments
Post a Comment